Saturday, November 19, 2016

******জয় শ্রীকৃষ্ণ******


******জয় শ্রীকৃষ্ণ******

*****কৃষ্ণং বন্দে জগৎগুরুম জগৎগুরুম চ শাশ্বতম।।******

হে, বাসুদেব তনয় শ্রীকূষ্ণ, হে সর্বব্যাপ্ত পরমেশ্বর ভগবান, আমি আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
আমি শ্রীকূষ্ণের ধ্যান করি, কেননা তিনি হচ্ছেন প্রকাশিত ব্রক্ষান্ড সমূহের সূষ্টি, স্থিতি এবং প্রলয়ের মূল কারণ ।

তিনি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সবকিছু সস্মন্ধে অবগত এবং তিনি সম্পূর্নভাবে স্বাধীন, কেননা তার অতীত আর কোনও কারণ নেই।
তিনিই আদি কবি ব্রক্ষার হ্রদয়ে সর্ব প্রথম বৈদিক জ্ঞান প্রদান করেছিলেন।
তাঁর দ্বারা সমস্ত দেবতারাও মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, ঠিক যেভাবে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে আগুনে জল দর্শন হয়, অথবা জলে মাটি দর্শন হয়।
তাঁরই প্রভাবে জড় প্রকৃতির তিনটি গুনের মাধ্যমে জড় জগৎ সাময়িক ভাবে প্রকাশিত হয়, এবং তা অলীক হলেও সত্যবৎ প্রতিভাত হয়।
তাই আমি সেই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকূষ্ণের ধ্যান করি, যিনি জড় জগতের মোহ থেকে সম্পূর্নভাবে মুক্ত তার ধামে নিত্যকাল বিরাজ করেন।
আমি তার ধ্যান করি, কেননা তিনিই হচ্ছেন পরম সত্য।
ভগবানের গুণাবলী ধারণকারী বহু পুরুষ আছেন, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরম পুরুষ, কারণ তাঁর ঊর্ধ্বে আর কেউ নেই। তিনি হচ্ছেন পরমেশ্বর এবং তাঁর শ্রীবিগ্রহ সচ্চিদানন্দময়। তিনি হচ্ছেন অনাদির আদিপুরুষ গোবিন্দ এবং তিনিই হচ্ছেন সর্ব কারণের কারণ।
==================XXXXXX===============













Sunday, October 23, 2016

*****শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসা*****

*****শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসা*****

===============================================
শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসার শিক্ষা গ্রহণ করলে পাপকর্ম থেকে মুক্তি লাভ হয়, পাপের কর্মফল দূর হয়, সুপ্ত কৃষ্ণপ্রেম জাগে। ভাগবতে বিভিন্ন স্থানে সর্বত্র বলা হয়েছে, এই জড় জগৎ দুঃখ দুর্দশায় পরিপূর্ণ, তাই শ্রীগুরুর নির্দেশে ভগবানের অহৈতুকী কৃপার ফলে ,শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসার পথ অনুসরণ করে সেই দুর্দশার পথ ছাড়া যায়। সমস্ত ভাগবতে সেই ভগবদ্ভক্তির রসামৃত পরিবেশন করা হয়েছে।


ভগবানের ভক্তের এক মাত্র চিন্তা হচ্ছে,
 কিভাবে তিনি ভগবানের সেবা করবেন, কিভাবে ভগবানকে তুষ্ট করবেন,
♤♤এছাড়া আর কোন বিষয়েই তিনি চিন্তা করেন না।
তাই তিনি সমস্ত রকমের আসক্তি ও নিরাসক্তির অতীত। শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা অনুসারে কেবল তিনি তার সমস্ত কর্তব্যকর্ম করেন।
♤শ্রীকৃষ্ণ যদি চান, তবে তিনি এমন কাজও করেন, যার জন্য সারা জগৎ তাকে নিন্দা করতে পারে। আবার শ্রীকৃষ্ণ না চাইলে তিনি তাঁর অবশ্য করণীয় কর্মও পরিত্যাগ করেন।
কর্তব্য কর্ম সাধন সাধারণত নির্ভর করে আমাদের ইচ্ছার উপরে, কিন্তু কৃষ্ণভক্ত কেবল ভগবানের নির্দেশ অনুসারে তাঁর কর্তব্য কর্ম করে চলেন।


ভগবানের অহৈতুকী কৃপার ফলে ভক্ত এই ধরনের শুদ্ধ চেতনা লাভ করেন, যার ফলে কোন রকম জড় কলুষময় পরিবেশে তিনি সংশ্লিষ্ট থাকলেও কোন কলুষতা আর তাকে স্পর্শ করতে পারে না।
============================

Wednesday, August 24, 2016

*****পরমাত্মা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুণ্য জম্মতিথি*****

*****পরমাত্মা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের 

পুণ্য জম্মতিথি*****

=====================================

পৃথিবীতে পরমাত্মা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জম্মতিথি। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুষ্টের দমনে শিষ্টের পালন এবং ধর্ম রক্ষার লক্ষ্যে মহাবতার ভগবান রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের মানবরূপের পৃথিবীর আবির্ভাবের কারণ সম্পর্কে গীতায় তিনি বলেছেন
যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥
পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।
ধর্ম সংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে ।
হে ভারত যখনি পৃথিবীতে অধর্ম বেড়ে যায় তখন আমি অবর্তীণ হই, অবতীর্ণ হয়ে সাধুদের রক্ষা দুষ্টের বিনাশ ও ধর্ম সংস্থাপন করি। আধ্যাত্মিক বিবেচনায় দ্বাপর যুগের শেষদিকে ঐতিহাসিকদের ধারণা মতে খ্রিষ্টপূর্বে ১৫০৬ অব্দে সনাতন ধর্মের এই প্রাণপুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব ঘটেছিল। মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে। সমগ্র ভারতবর্ষে যখন হানাহানি, রক্তপাত, সংঘর্ষ, রাজ্যলোভে রাজন্যবর্গের মধ্যে যুদ্ধবগ্রহ তথা পৃথিবী যখন মর্মাহত, পাশে অবনত, ঠিক সেই সৃষ্টি স্থিতি-পলয়ের যুগ সন্ধিক্ষণে তার আবির্ভাব অনিবার্য হয়ে পড়ে। মানবতাবাদী চরিত্রে চিত্রত পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ জন্ম নেন মথুরার এই অত্যাচারী রাজা কংশের কারাগারে।
 
শ্রী কৃষ্ণের জীবনী পাঠ ও কর্মকান্ড মানব সমাজকে শিক্ষা দেয় যে, সৌভ্রাতৃত্ব ও স¯প্রীতির বন্ধনে বিশ্ব সমাজকে আবদ্ধ করার ক্ষেত্রে তার দর্শন ও প্রেমের বাণী রাখতে পারে কার্যকরী ভূমিকা। তাইতো শুধু দুষ্টের দর্শনই নয় এক শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন তথা জন্মাষ্টমী আমাদের মাঝে নিয়ে আসে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক শুভ আনন্দময় বার্তা।
সংগ্রহঃ বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ দর্শন থেকে।।

******জয় জয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি জয়*****
*****জয় আবির্ভাব তিথি কি জয়*****
*****জন্ম অষ্টমী তিথি কি জয়*****

*****জন্মাষ্টমীর বিশেষ পোস্ট*****

*****জন্মাষ্টমীর বিশেষ পোস্ট*****
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ

আসুন জেনে নিই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য .... 
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগের শেষে আজ থেকে পাঁচ হাজার দুইশত আটত্রিশ বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিলেন।। তিনি ১২৫ বছর এই ধরাধামে ছিলেন।।
কৃষ্ণ যদু বংশে আবির্ভূত হয়েছিলেন।।
কৃষ্ণ অভ্যাসগত কারনে যখন দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজান তখন ডান পা সামনে রাখেন আর বাম পা দিয়ে পেছনে ভারসাম্য রক্ষা করেন।
কৃষ্ণের ১৬১০৮ জন গোপিকা ছিলেন।। এর মধ্যে ১০৮ জন শ্রেষ্ঠ।। তাঁদের মধ্যে আট জনহলেন অসাধারণ।। রাধারানী হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অন্তরঙ্গা শক্তি।। শাস্ত্রে বলে,রাধা পূর্ণ শক্তি, কৃষ্ণ পূর্ণ শক্তিমানদুই বস্তু ভেদে নাই, শাস্ত্রের প্রমাণ।।
কৃষ্ণের চরণ কমলে উনিশটি শুভ চিহ্ন রয়েছে।।
তাঁর গায়ের রং ঈষৎ নীল ঈষৎ কালো।। তিনি পীত বস্ত্র পরিধান করতে পছন্দ করেন।।
তিনি সর্বদা বৈজয়ন্তী মালা গলায় ধারণ করে থাকেন যা হাঁটু পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।।
তিনি কখনোই ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত হন না।।
কোন প্রকার রোগ শোক তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না।।
তিনি গরীব দুঃখী এবং ব্রাহ্মনদের ভোজন করিয়েছিলেন।। বয়স্কদের সেবা করেছিলেন এবং বিভিন্ন রকম জন কল্যাণকর কার্য সম্পাদন করেছিলেন।।
তাঁর শঙ্খের নাম পাঞ্চজন্য এবং ধনুকের নাম সারঙ্গ।।
তিনি একমাস বয়সে পুতনা এবং বার বছর বয়সে কংসকে বধ করেছিলেন।।
তিনি দ্রৌপদীকে অপরিমেয় বস্ত্র দান করে রক্ষা করেছিলেন।।
তিনি সব সময় তাঁর সিদ্ধান্তে অটল।। মহাভারতের কোথাও তাঁকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে দেখা যায় নাই।
তাঁর রাজত্বকালে তাঁকে কেউই পরমেশ্বর ভগবান বলে চিনতে পারেননি।। তবে চিনতে পেরেছিলেন শুধু একজন।। তিনি ভীষ্মদেব।। আর কৃষ্ণ নিজে প্রকাশিত হয়েছিলেন এবং বিশ্ব রুপ দেখিয়েছিলেন শুধু অর্জুনকে।। গীতার জ্ঞান প্রকাশিত হওয়ার পরই আজ এই কলিযুগের মানুষেরা তাঁকে ভগবান বলে চিনতে পেরেছে।।
সংগ্রহঃ বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ দর্শন থেকে।।

***🌷🍀ভাগবত কথামৃতঃ🌷🍀***

🌷🍀ভাগবত কথামৃতঃ🍀🌷
ভাগবতে উল্লেখ আছে যে, ''জীবের সমস্ত প্ৰকার সুফলের মূল স্বরুপ সুদুর্লভ এই মনুষ্যজন্ম প্ৰকৃতির নিয়মে সুলভে লাভ করা যায় । কিন্তু এই মনুষ্যদেহ এক সুপরিকল্পিত নৌকার মতো । শ্ৰীকৃষ্ণের কৃপারুপ অনুকুল বায়ুর দ্বারা পরিচালিত এমণ নৌকা লাভ করেও যে ব্যক্তি এই সংসার - সমুদ্ৰ পার হওয়ার চেষ্টা না করে , সে আত্মঘাতী''।
অতএব , যারা মানব - জন্মের সদ্ব্যবহার করল না , জীবনের মূল উৎস শ্ৰীভগবানের অভয় শ্রীপাদপদ্মে আশ্ৰয় নিতে যাদের মতি হল না , কেবল মায়া-মোহগ্ৰস্ত হয়ে যারা সংসার - চিন্তায় মশগুল থাকল , তারা মৃত্যুর পর অধঃপতিত হয়ে নরক যন্ত্রনা ভোগ করবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
🍀আমরা এই জড়জগতে শুধু কি ফেল করার জন্য এসেছি ?
স্কুল - কলেজের ছাত্ররা পরীক্ষার জন্য প্ৰস্তুত হয় । দিনরাত তারা মনোযোগ সহকারে পাঠ্য বিষয় অধ্যয়ন করতে থাকে । সারাবছর ভালমতো পড়াশুনা করলে তারা সহজেই পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়ে যাবে । একেই বলে পরীক্ষার জন্য প্ৰস্তুতি ।
সেইরকম মানব জীবনের মৃত্যুও একটি পরীক্ষা । সারাজীবন হরিভজন অনুশীলন করলে সহজেই দেহত্যাগের পর নিত্য পরম আনন্দময় ভগবদ্বাম উন্নীত হওয়া যায় । যখন কোনও ছাত্র পড়াশুনা ঠিকভাবে করে , তখন পাঠ্য বিষয় স্মরণ করে খাতায় সহজে লিখতে পারে । তেমনই ঠিকমতো কৃষ্ণভজন করলে মৃত্যুকালে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ হবে । এইভাবে ভগবদ্ধামে উন্নীত হওয়া যাবে ।
ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ গীতায় শিক্ষা দিয়েছেন —
''অন্তকালে চ মামেব স্মরন্মুক্তা কলেবরম,
যা প্ৰয়াতি স মদ্ভাব যাতি নাস্ত্যত্ৰ সংশয়ঃ''॥ ৮/৫
অনুবাদঃ “ জীবনের অস্তিমকালে আমাকে স্মরণ করতে করতে দেহ ত্যাগ করলে সেই জীব আমার কাছে ফিরে আসবে । এ বিষয়ে কোনও সংশয় নেই'' ।
🍀কিন্তু মূর্খেরা কৃষ্ণবিদ্বেষী হয়ে কৃষ্ণভজন করবে না !
যে ছাত্ৰ সর্বক্ষন ছায়াছবি , উপন্যাস , বন্ধুবান্ধবের বাড়ি , সঙ্গী-সাথীর কথা চিন্তা করে সে পরীক্ষায় ভাল করতে পারবে না । তার পক্ষে পরীক্ষায় উত্তীণ হওয়া সম্ভব না ।
তেমনই যে ব্যক্তি এই জড় সংসার সুখ ভোগ চরিতাৰ্থ করার চিন্তায় রত , সে কখনও মৃত্যুর পর শাশ্বত গতি লাভ করতে পারে না ।
🍀গীতায় ভগবান মৃত্যুর জন্য সবাইকে প্ৰস্তুত হওয়ার কথা বলেছে ।
কৃষ্ণকথা শ্ৰবণই ভব-সমুদ্ৰ পারের উপায়, যারা ভক্তদের অত্যন্ত প্রিয় ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের কথামৃত শ্ৰবণপুটে পান করেন তাদের জড়বিষয় ভোগে দুষিত অন্তকরণ সঙ্গেসঙ্গে পবিত্র হয়ে যায় এবং ভগবানের শ্ৰীপাদপদ্ধ সমীপে তারা গমন করেন এতে কোন দন্দেহ নেই।
ভাগবতে উল্লেখ আছে, “ যাঁরা নিয়মিতভাবে শ্ৰদ্ধা সহকারে কৃষ্ণকথা শ্ৰবণ করেন , তাদের হৃদয়ে পরমেশ্বর ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ অচিরেই প্ৰকাশিত হন''। যেমন, পরীক্ষিৎ মহারাজ শ্ৰীমন্তাগবত শ্ৰবণ করতে করতেই ভগবদ্বামে উন্নিত হয়েছিলেন।
🍀কৃষ্ণকথা শ্ৰবনে শ্ৰদ্ধা নেই বলেই সংসারে জীব বদ্ধ হয়ে রয়েছে ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনামে আছে,
''দিন গেল মিছা কাজে, রাত্রি গেল নিদ্রে,
না ভজিনু রাধাকৃষ্ণ - চরনারবিন্দে।।
কৃষ্ণ ভজিবার তরে সংসারে আইনু,
মিছা-মায়ায় বদ্ব হয়ে বৃক্ষসম হৈনু।। (নরোত্তম দাস ঠাকুর )
''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।
তাই কৃষ্ণভক্ত সর্বদা হরিনাম প্রচার ও কীৰ্তন করেন

Friday, August 19, 2016

*****ভগবান শ্রী কৃষ্ণের অষ্টশত নাম *****

*****ভগবান শ্রী কৃষ্ণের অষ্টশত নাম ,সবাই পড়বেন। *****
*****শ্রীকৃষ্ণ গোপাল*****

১। শ্রীনন্দ রাখিল নাম নন্দের নন্দন।
২। যশোদা রাখিল নাম যাদু বাছাধন।


৩। উপানন্দ নাম রাখে সুন্দর গোপাল।
৪। ব্রজবালক নাম রাখে ঠাকুর রাখাল।
৫। সুবল রাখিল নাম ঠাকুর কানাই।
৬। শ্রীদাম রাখিল নাম রাখাল রাজা ভাই।
৭। ননীচোরা নাম রাখে যতেক গোপিনী।
৮। কালসোনা নাম রাখে রাধা- বিনোদিনী।
৯। কুজ্বা রাখিল নাম পতিত-পাবন হরি।।
১০। চন্দ্রাবলী নাম রাখে মোহন বংশীধারী।
১১। অনন্ত রাখিল নাম অন্ত না পাইয়া।
১২। কৃষ্ণ নাম রাখেন গর্গ ধ্যানেতে জানিয়া।
১৩। কন্বমুনি নাম রাখে দেব চক্রপাণী।
১৪। বনমালী নাম রাখে বনের হরিণী।
১৫। গজহস্তী নাম রাখে শ্রীমধুসূদন।
১৬। অজামিল নাম রাখে দেব নারায়ন।
১৭। পুরন্দর নাম রাখে দেব শ্রীগোবিন্দ।
১৮। দ্রৌপদী রাখিল নাম দেব দীনবন্ধু।
১৯। সুদাম রাখিল নাম দারিদ্র-ভঞ্জন।
২০। ব্রজবাসী নাম রাখে ব্রজের জীবন।
২১। দর্পহারী নাম রাখে অর্জ্জুন সুধীর।
২২। পশুপতি নাম রাখে গরুড় মহাবীর।
২৩। যুধিষ্ঠির নাম রাখে দেব যদুবর।
২৪। বিদুর রাখিল নাম কাঙ্গাল ঈশ্বর।
২৫। বাসুকি রাখিল নাম দেব-সৃষ্টি স্থিতি।
২৬। ধ্রুবলোকে নাম রাখে ধ্রুবের সারথি।
২৭। নারদ রাখিল নাম ভক্ত প্রাণধন।
২৮। ভীষ্মদেব নাম রাখে লক্ষ্মী-নারায়ণ।
২৯। সত্যভামা নাম রাখে সত্যের সারথি।
৩০। জাম্বুবতী নাম রাখে দেব যোদ্ধাপতি।
৩১। বিশ্বামিত্র নাম রাখে সংসারের সার।
৩২। অহল্যা রাখিল নাম পাষাণ-উদ্ধার।
৩৩। ভৃগুমুনি নাম রাখে জগতের হরি।
৩৪। পঞ্চমুখে রাম নাম গান ত্রিপুরারি।
৩৫। কুঞ্জকেশী নাম রাখে বলী সদাচারী।
৩৬। প্রহ্লাদ রাখিল নাম নৃসিংহ-মুরারী।
৩৭। বশিষ্ঠ রাখিল নাম মুনি-মনোহর।
৩৮। বিশ্বাবসু নাম রাখে নব জলধর।
৩৯। সম্বর্ত্তক নাম রাখে গোবর্দ্ধনধারী
৪০। প্রাণপতি নাম রাখে যত ব্রজনারী।
৪১। অদিতি রাখিল নাম আরতি-সুদন।
৪২। গদাধর নাম রাখে যমল-অর্জুন।
৪৩। মহাযোদ্ধা নাম রাখি ভীম মহাবল।
৪৪। দয়ানিধি নাম রাখে দরিদ্র সকল।
৪৫। বৃন্দাবন-চন্দ্র নাম রাখে বিন্দুদূতি।
৪৬। বিরজা রাখিল নাম যমুনার পতি।
৪৭। বাণী পতি নাম রাখে গুরু বৃহস্পতি।
৪৮। লক্ষ্মীপতি নাম রাখে সুমন্ত্র সারথি।
৪৯। সন্দীপনি নাম রাখে দেব অন্তর্যামী।
৫০।পরাশর নাম রাখে ত্রিলোকের স্বাম।
৫১। পদ্মযোনী নাম রাখে অনাদির আদি।
৫২। নট-নারায়ন নাম রাখিল সম্বাদি।
৫৩। হরেকৃষ্ণ নাম রাখে প্রিয় বলরাম।
৫৪। ললিতা রাখিল নাম বাদল-শ্যাম।
৫৫। বিশাখা রাখিল নাম অনঙ্গমোহন।
৫৬। সুচিত্রা রাখিল নাম শ্রীবংশীবদন।
৫৭। আয়ন রাখিল নাম ক্রোধ-নিবারণ।
৫৮। চন্ডকেশী নাম রাখে কৃতান্ত-শাসন।
৫৯। জ্যোতিষ্ক রাখিল নাম নীলকান্তমণি।
৬০। গোপীকান্ত নাম রাখে সুদাম ঘরণী।
৬১। ভক্তগণ নাম রাখে দেব জগন্নাথ।
৬২। দুর্বাসা নাম রাখে অনাথের নাথ।
৬৩।রাসেশ্বর নাম রাখে যতেক মালিনী।
৬৪। সর্বযজ্ঞেশ্বর নাম রাখেন শিবানী।
৬৫। উদ্ধব রাখিল নাম মিত্র-হিতকারী।
৬৬। অক্রুর রাখিল নাম ভব-ভয়হারী।
৬৭। গুঞ্জমালী নাম রাখে নীল-পীতবাস।
৬৮। সর্ববেত্তা নাম রাখে দ্বৈপায়ণ ব্যাস।
৬৯। অষ্টসখী নাম রাখে ব্রজের ঈশ্বর।
৭০। সুরলোকে নাম রাখে অখিলের সার।
৭১। বৃষভানু নাম রাখে পরম ঈশ্বর।
৭২। স্বর্গবাসী নাম রাখে সর্ব পরাৎপর।
৭৩। পুলোমা রাখেন নাম অনাথের সখা।
৭৪। রসসিন্ধু নাম রাখে সখী চিত্রলেখা।
৭৫। চিত্ররথ নাম রাখে অরাতি দমন।
৭৬। পুলস্ত্য রাখিল নাম নয়ন-রঞ্জন।
৭৭। কশ্যপ রাখেন নাম রাস-রাসেশ্বর।
৭৮। ভাণ্ডারীক নাম রাখে পূর্ণ শশধর।
৭৯। সুমালী রাখিল নাম পুরুষ প্রধান।
৮০। রঞ্জন নাম রাখে ভক্তগণ প্রাণ।
৮১। রজকিনী নাম রাখে নন্দের দুলাল।
৮২। আহ্লাদিনী নাম রাখে ব্রজের গোপাল।
৮৩। দেবকী রাখিল নাম নয়নের মণি।
৮৪। জ্যোতির্ম্ময় নাম রাখে যাজ্ঞবল্ক্য মুনি।
৮৫। অত্রিমুনি নাম রাখে কোটি চন্দ্রেশ্বর।
৮৬। গৌতম রাখিল নাম দেব বিশ্বম্ভর।
৮৭। মরীচি রাখিল নাম অচিন্ত্য-অচ্যুত।
৮৮। জ্ঞানাতীত নাম রাখে শৌনকাদিসুখ।
৮৯। রুদ্রগণ নাম রাখে দেব মহাকাল।
৯০। সুরগণ নাম রাখে ঠাকুর দয়াল।
৯১। সিদ্ধগণ নাম রাখে পুতনা-নাশন।
৯২। সিদ্ধার্থ রাখিল নাম কপিল তপোধন।
৯৩। ভাদুরি রাখিল নাম অগতির গতি।
৯৪। মৎস্যগন্ধা নাম রাখে ত্রিলোকের পতি।
৯৫। শুক্রাচার্য্য নাম রাখে অখিল বান্ধব।
৯৬। বিষ্ণুলোকে নাম রাখে দেব শ্রীমাধব।।
৯৭। যদুগণ নাম রাখে যদুকুলপতি।
৯৮। অশ্বিনীকুমার নাম রাখে সৃষ্টি-স্থিতি।।
৯৯। অর্য্যমা রাখিল নাম কাল-নিবারণ।
১০০। সত্যবতী নাম রাখে অজ্ঞান-নাশন।।
১০১। পদ্মাক্ষ রাখিল নাম ভ্রমরী-ভ্রমর।
১০২। ত্রিভঙ্গ রাখিল নাম যত সহচর।
১০৩। বংকচন্দ্র নাম রাখে শ্রীরূপমঞ্জরী।
১০৪। মাধুরা রাখিল নাম গোপী-মনোহারী।
১০৫। মঞ্জুমালী নাম রাখে অভীষ্টপুরণ।
১০৬। কুটিলা রাখিল নাম মদনমোহন।
১০৭। মঞ্জরী রাখিল নাম কর্ম্মব্রহ্ম-নাশ।
১০৮। ব্রজবাসী  নাম রাখে পূর্ণ অভিলাস।

Monday, August 15, 2016

*****পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ*****

*****পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ*****


পরম পুরুষোত্তম ভগবান তাঁর পরমধামে অবস্থান করলেও তিনি মনের গতির চেয়েও দ্রুততর গতিতে সকলকে অতিক্রম করতে পারেন। শক্তিমান দেবগণও তাঁর সম্মুখীন হতে পারেন না। একস্থানে অবস্থান করলেও, তিনি বায়ু ও বৃষ্টির দেবতাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। সর্ব বিষয়েই তিনি শ্রেষ্ঠতার বিচারে অপরাজেয় থাকেন।” ব্রহ্মসংহিতাতেও একই কথা বলা হয়েছে- গোলোক এব নিবসত্যাখিলাত্মভূতঃ। অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ গোলোক বৃন্দাবনে নিত্য বিরাজ করলেও সকল জীবের অন্তরে তিনি অধিষ্ঠিত রয়েছেন।

গোলোকধামে শ্রীকৃষ্ণকে কোন কর্তব্যকর্ম সাধন করতে হয় না। তিনি শুধু তাঁর পারিষদদের অর্থাৎ গোপী, গোপসখা, তাঁর মাতা, পিতা ও নিজের গাভী ও বাছুরদের নিয়ে আনন্দ উপভোগ করেন। তিনি সম্পূর্ণ স্বাধীন। আর তাঁর বন্ধুরা আরও বেশী স্বাধীন। যখনই তারা কোনও বিপদের সম্মুখীন হত, তারা নিশ্চিন্ত থাকত এই ভেবে যে শ্রীকৃষ্ণ তাদের রক্ষা করবেন। এরজন্য তারা কোনও দুশ্চিন্তাই করত না। যদিও বন্ধুরা বিপদে পড়লে শ্রীকৃষ্ণ খানিকটা উদ্বেগ অনুভব করতেন। কিন্তু তাঁর বন্ধুরা মনে করত, “এই তো শ্রীকৃষ্ণ এখানে রয়েছেন। তিনিই
আমাদের রক্ষা করবেন।
পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারতবর্ষের বৃন্দাবনে যখন শ্রীকৃষ্ণ তাঁর লীলাবিলাস করতেন সেই সময় প্রতিদিনই তিনি তাঁর
গোপসখা, গাভী ও বাছুরদের নিয়ে যমুনার তীরে খেলতে যেতেন। আর সেই সময় প্রায়ই শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর সখাদের বধ করার জন্য কংস কোনও কোনও দানবকে পাঠাত। তা সত্ত্বেও গোপ বালকরা নির্ভয়ে খেলত, কারণ তারা নিশ্চিতভাবে জানত শ্রীকৃষ্ণ তাদের অবশ্যই রক্ষা করবেন। আর এটিই হল আধ্যাত্মিক জীবনের বৈশিষ্ট্য, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণে আত্মসমর্পণের মাধ্যমেই প্রত্যেকের নিশ্চিত জীবনের সূচনা হয়।
শ্রীকৃষ্ণের চরণে আত্মসমর্পণের অর্থ হল তাঁর প্রতি একান্ত বিশ্বাস রাখা, যে কোনরকম বিপদের সময়ে তিনিই আমাদের রক্ষা করবেন। আর এই আত্মসমর্পণের প্রথম পদক্ষেপই হল শুধুমাত্র ভক্তিমূলক ক্রিয়াকলাপ করা। সেইসাথে ভগবদ্ভক্তির প্রতিকূল ক্রিয়াকলাপগুলো বর্জন করা। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হল শ্রীকৃষ্ণের প্রতি মনে মনে আস্থা অর্জন করা যে কোনরকম বিপদে কেবলমাত্র তিনিই আমাদের উদ্ধার করবেন। প্রকৃতপক্ষে বাস্তব সত্য হল যে, তিনি সবসময়ই আমাদের রক্ষা ও প্রতিপালন করে চলেছেন। কিন্তু মায়ার (বিভ্রান্তি) কারণে আমরা মনে করি থাকি যে, আমরা বুঝি খাদ্য সংগ্রহ ও গ্রহণের মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের প্রতিপালন করছি।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই ভক্তদের প্রতিপালন করেন এবং তাদের জীবন সুরক্ষিত করেন। অন্যদিকে শ্রীকৃষ্ণের বহিরঙ্গা শক্তি অর্থাৎ মায়াদেবী অন্য সব সাধারণ জীবদের প্রতিপালন করেন। এই মায়াদেবীই শ্রীকৃষ্ণের প্রতিভূ রূপে বদ্ধ জীবদের তাদের ত্রুটিপূর্ণ কার্যকলাপের জন্য শাস্তি দেন। যেকোনও দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় আমরা যেমন দেখি, সুনাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার সরাসরি সুব্যবস্থা করেন, অন্যদিকে দুষ্কৃতীদের কারাবিভাগের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। কারারুদ্ধ দুষ্কৃতীদের জন্যও সরকার উপযুক্ত খাদ্যের ব্যবস্থা করেন, অসুস্থ হলে তাদের জন্য হাসপাতালে সুচিকিৎসার বন্দোবস্তও করা হয়। কিন্তু পুরোটাই করা হয় কারাগারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাধীনে।

****নৃসিংহ নারায়ণ *******শ্রীলক্ষ্মী নৃসিংহ নারায়ণ ***

****নৃসিংহ নারায়ণ ****
***শ্রীলক্ষ্মী নৃসিংহ নারায়ণ *** 

নৃসিংহ (সংস্কৃত: नरसिंह, বানানান্তরে নরসিংহ) বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার। পুরাণ, উপনিষদ ও অন্যান্য প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থে তাঁর উল্লেখ রয়েছে।তিনি হিন্দুদের জনপ্রিয়তম দেবতাদের অন্যতম। সাধারণত দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের অন্যতম প্রতীক তিনি ৷ প্রাচীন মহাকাব্য, মূর্তিতত্ত্ব, মন্দির ও উৎসব ইত্যাদির তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায় এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর পূজা প্রচলিত রয়েছে। নৃসিংহকে শৌর্যের মূর্তিস্বরূপ এবং তাঁর মন্ত্র শত্রুনিধন ও অমঙ্গল দূরীকরণে বিশেষ ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়; তাই অতীতে শাসক ও যোদ্ধারা নৃসিংহের পূজা করতেন।
==============================================
নৃসিংহ অর্ধ-মনুষ্য অর্ধ-সিংহ আকারবিশিষ্ট। তাঁর দেহ মনুষ্যাকার, কিন্তু সিংহের ন্যায় মস্তক ও নখরযুক্ত। মৎস্যপুরাণ অনুযায়ী নৃসিংহ অষ্টভূজ হলেও, অগ্নিপুরাণ অনুযায়ী তিনি চতুর্ভূজ।একাধিক বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে তাঁর পূজা প্রচলিত। দক্ষিণ ভারতে নৃসিংহ পূজার বিশেষ প্রচলন দেখা যায়। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নৃসিংহ ‘মহারক্ষক’; তিনি ভক্তকে তার প্রয়োজনের সময় সর্বদা রক্ষা করে থাকেন।
==============================================
প্রহ্লাদের উপাখ্যান অনুসারে এবং ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নৃসিংহদেব তাঁর সত্য ভক্তদের চরমতম বিপদের সময় রক্ষা করেন। একটি কিংবদন্তি অনুসারে, এক কাপালিক দেবী কালীর নিকট আদি শংকরকে বলি দিতে গেলে নৃসিংহদেব তাঁকে রক্ষা করেছিলেন; এরপরই আদি শংকর তাঁর প্রসিদ্ধ লক্ষ্মী-নরসিংহ স্তোত্রটি রচনা করেন।

*****🌻আমাদের নিত্য আলয়🌻*****

🌻আমাদের নিত্য আলয়🌻


🌻জীবনে একবার যদি হরিনাম করতে করতে কখনও শ্ৰীগুরু কৃপায় মুখে শুদ্ধ নাম উদিত হয় তখন ভগদ্ভক্ত তার হৃদয়ে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকে উপলদ্বি করতে পাবেন , সেই সঙ্গে ভক্ত নিজের চিন্ময় স্বরুপ উপলব্ধি করেন।
🌻মনে হয় অনেক কঠিন কর্ম এটা তা কিন্তু নয়।
🌻ভক্ত যখন চিন্ময় স্বরুপে অধিষ্ঠিত থাকেন , তখন তিনি শান্ত, দাস্য , সখ্য, বাৎসল্য ও মাধুৰ্য রসের যে - কোন একটির মাধ্যমে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণে নিত্যসেবায় নিযুক্ত থাকেন ।
🌻ভক্ত যখন এভাবে সবসময় ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের নাম শ্রবণ , কীৰ্তন , স্মরণ আদি নববিধা ভক্তির মাধ্যমে তার সেবায় নিয়োজিত থাকেন ,
অথবা কেউ যখন কৃষ্ণভাবনার স্তরে অধিষ্ঠিত থাকেন , তখন তিনি এই ভৌতিক জগতে থাকা বা চিন্ময় জগতে থাকার মধ্যে কোনও পাৰ্থক্য থাকে না।
🌻পৃথিবী হচ্ছে কৃষ্ণসেবা - বিমুখ বদ্ধ জীবের রোগমুক্ত হবার স্থান বা সংশোধনাগার । ভগবান কৃষ্ণ জড় জগতের মাধ্যমে আমাদের ভোগবাসনা পূরণের সুযোগ দান করেছেন । তিনি চান , আমরা যেন এই নশ্বর জগতের অপরিহাৰ্য দুঃখকে উপলব্ধি করি । তিনি এই জগৎকে বলেছেন — ''দুঃখালয়ম্ অশাশ্বতম'' — রি জগত দুঃখের আলয় এবং তা বিনাশশীল।
🌻পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন, ''মৃত্যুর সময় কেউ যখন আমাকে চিন্তা করে দেহত্যাগ করেন , তিনি তখন চিন্ময় জগৎ গোলোক বৃন্দাবনে ফিরে যান। সেখানে তিনি তার চিন্ময় স্বরুপে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের সঙ্গে নিত্য লীলাবিলাস করেন''।


🌻আবার বলেছেন,
''যদ গত্বা ন নিবৰ্তন্তে, তদ্ধাম পরমং মম''। অর্থাৎ “ আমার সেই পরম ধামে একবার গেলে , আর এই জড় জগতে ফিরে আসতে হয় না ” ।
ঠিক এইভাবে কেউ যখন হরিনাম করে চিন্ময় জগতে যান তিনি আর এই ভৌতিক সংসারে ফিরে আসেন না । সেটিই হচ্ছে যথাৰ্থ মুক্তি।
🌻তাই এই কলিযুগে চিন্ময় ভগবৎ- ধামে ফিরে যাওয়ার একমাত্ৰ উপায় হচ্ছে হৱে কৃষ্ণ মহামন্ত্ৰ কীৰ্তন করা । সেই সম্বন্ধে বৃহন্নারদীয় পুরাণে বলা হয়েছে,
''হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম,
কলৌ নাস্তেব্য নাস্তেব্য নাস্তেব্য গতিরন্যথা''।
🌻অর্থাৎ ''এই কলিযুগে হরিনাম ছাড়া অন্য কোনও গতি নেই,
অন্য কোনও গতি নেই, অন্য কোনও গতি নেই''।
🌻 শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাই সকলকে বলেছেন,
শুধু হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্ৰ কীৰ্তন করা কর্তব্য —
''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।।
🌻ভগবৎ - ধামে জরা-ব্যাধি-মৃত্যু বলে কিছু নেই ; সেখানে জীবন নিত্য , জ্ঞানময় ও আনন্দময় । মানব জীবনের চরম উদ্দেশ্য হচ্ছে,
ভক্তিযোগ অনুশীলন করে দুঃখময় জড় বন্ধন হতে মুক্ত হয়ে ,
আমাদের নিত্য অালয় ভগবৎ - ধামে ফিরে যাওয়া ,
নিত্যকাল ভগবানের সেবায় যুক্ত হওয়া।।
''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।।

*****ভক্ত ও ভগবানের চির মধুর সম্বন্ধ *****

*****ভক্ত ও ভগবানের চির  মধুর সম্বন্ধ *****

ভগবানের সঙ্গে তাঁর ভক্তের সম্পর্ক চিন্ময় সৌন্দর্যমণ্ডিত। ভক্ত যেমন মনে করেন যে, ভগবানের ভক্ত হওয়ার ফলে, তিনি সমস্ত সদগুণাবলী অর্জন করেছেন, তেমনই ভগবানও মনে করেন যে, তাঁর ভক্তের সেবক হওয়ার ফলে তাঁর অপ্রাকৃত মহিমা বর্ধিত হয়েছে। পক্ষান্তরে বলা যায় যে, ভক্ত যেমন সর্বদাই ভগবানের সেবা করার জন্য উৎকণ্ঠিত থাকেন, তেমনই ভগবানও তাঁর ভক্তের সেবা করার জন্য সর্বদা আকুল হয়ে থাকেন। এখানে ভগবান স্বীকার করেছেন যে, তাঁর শ্রীপাদপদ্মের রেণু লাভ করার ফলেই অবশ্যই তৎক্ষণাৎ মহাত্মায় পরিণত হয়ে যান, কিন্তু তাঁর সেই মাহাত্ম্যের কারণ হচ্ছে তাঁর ভক্তের প্রতি তাঁর স্নেহ। তাঁর ভক্তের প্রতি তাঁর এই স্নেহের জন্য লক্ষ্মীদেবী তাঁকে ছেড়ে কোথাও যান না, এবং একজনই নন, শত সহস্র লক্ষ্মীদেবী তাঁর সেবায় যুক্ত থাকেন। জড় জগতে লক্ষ্মীদেবীর কৃপাকণা লাভের জন্য মানুষেরা নানা রকম কঠোর তপস্যা এবং ব্রত অনুষ্ঠান করে। অথচ, স্বয়ং লক্ষ্মীদেবী ভগবানের কৃপাকণা প্রত্যাশী। ভগবান তাঁর ভক্তের কোন প্রকার অসুবিধা সহ্য করতে পারেন না। তাই তাঁকে বলা হয় ভক্তবৎসল।

Monday, April 11, 2016

***আমার প্রাণ প্রিয়তম গোবিন্দ ***

আমার প্রাণ প্রিয়তম গোবিন্দ। ..আমার প্রাণ সখা গোবিন্দ। 
প্রাণপতি প্রাণআত্মা প্রিয় সখা আমার .......
চিরতরে আমার প্রাণ আত্মা তোমার করে নাও। অনন্তকাল যে তোমার পথ চেয়ে আছি গোবিন্দ ..........
যেমন শরাবীর প্রাণ সুরা 
তেমনি প্রিয়তম আমার প্রাণমদিরা। .........
 হে গোবিন্দ আমার জনম মরণের সাথী। আমার প্রাণপ্রিয় প্রাণ সাথী ,আমার অনন্ত জনমের সাথী। ..........  
.......আমায় চিরতরে তোমার চরণে টেনে নাও। .......
অনন্তকাল তোমার পথ চেয়ে আছি গোবিন্দ। ......বিস্মৃতির মাঝেও তোমাকেই খুঁজেছি গোবিন্দ। .......... আমার চিরদিনের স্বামী ,প্রাণবন্ধু আমার।......দিনশেষে তোমার প্রাণের  প্রেম পরশ  দিয়ে এ জীবনের সকল অপূর্ণতা ,অতৃপ্তি ভরিয়ে দাও গোবিন্দ। ............