Saturday, September 15, 2018

***শ্রীমতি রাধারানী কে??***

***শ্রীমতি রাধারানী কে??***

শ্রীমতি রাধারানী কে??
======================================
শ্রীমতি রাধারানী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অদিশক্তি। অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আর রাধারানী দুইজনেই এক। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ লীলারস আস্বাদন করার জন্য দুই দেহ ধারন করেছেন। ব্রক্ষবৈবর্ত পুরানে বর্নিত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেকে আনন্দ প্রদানের জন্য নিজের বাম অংশ থেকে শ্রীরাধাকে সৃষ্টি করেছেন।
=========================================

             *********শ্রীমতী রাধারাণী ******               

=============================================
‘শ্রীবৃহদ্গৌতমীয় তন্ত্রে’ শ্রীকৃষ্ণের উক্তি---
সত্ত্বং তত্ত্বং পরত্বঞ্চ তত্ত্বত্রয়মহং কিল।
ত্রিতত্ত্বরূপিনী সাপি রাধিকা মম বল্লভা॥
অর্থাৎ--- “আমি যেমন নিত্য আনন্দময় হয়ে বিশ্বের কার্য, কারণ ও ত্রিতত্ত্ব-স্বরূপ, তেমনই শ্রীরাধা নিত্য আনন্দময়ী হয়ে কার্য, কারণ স্বভাবস্থিতা।”


ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদিশক্তি শ্রীমতী রাধারাণী। শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, তাঁরা এক। কেবলমাত্র লীলারস আস্বাদন করার জন্য দুই দেহ ধারণ করেছেন। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণিত আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেকে আনন্দ প্রদান করার জন্য নিজের বাম অংশ থেকে শ্রীরাধাকে সৃষ্টি করলেন। শ্রীমতী রাধারাণী আদিশক্তি রূপে জগতে খ্যাত হয়ে তাঁর নিজের চিৎশক্তির বলে অসংখ্য গোপী ও লক্ষ্মীদেবীদের শ্রীকৃষ্ণের প্রীতিবিধান করার জন্য সৃষ্টি করেছেন।  ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীমতী রাধারাণী
 সমস্ত লীলা হচ্ছে প্রেমময়। 

আত্মেন্দ্রিয় প্রীতি-বাঞ্ছা তারে বলি, ‘কাম’।
কৃষ্ণেন্দ্রিয় প্রীতি-ইচ্ছা ধরে ‘প্রেম’ নাম॥ (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত)
“নিজের ইন্দ্রিয় তৃপ্তির বাসনাকে বলা হয় কাম, আর পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ইন্দ্রিয়ের প্রীতিসাধনের ইচ্ছাকে বলা হয় প্রেম।”
শ্রীমতী রাধারাণীর অন্য একটি নাম 
 ‘"কাচিৎ’", অর্থাৎ যিনি শ্রীকৃষ্ণকে অখন্ড সুখ প্রদান করেন। “সর্বত্যাগ করি করে কৃষ্ণের ভজন।” দেহধর্ম, বেদ ধর্ম, লোক ধর্ম সব ত্যাগ করে কৃষ্ণের সেবা করেছিলেন। তবে এ তত্ত্ব সম্বন্ধে সকলে অবগত নয়।
শ্রীরাধাকৃষ্ণ ছাড়া জগতে আর কিছু নেই। এইভাবে সবই তাঁদের বিভূতি বলে জানবে। আমি শত কোটি সহস্র বছর ধরে বললেও শ্রীরাধারাণীর মহিমা বর্ণনা করতে সক্ষম হব না।”
শ্রীরাধারাণীর কৃপা ছাড়া শ্রীকৃষ্ণ গোবিন্দ চরণে ভক্তি লাভ অসম্ভব ।

Saturday, March 31, 2018

💖💖💖***শ্রীকৃষ্ণের ভগবত্তা***💖💖💖


💖💖💖***শ্রীকৃষ্ণের ভগবত্তা***💖💖💖
এতে চাংশকলাঃ পুংসঃ কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ম্ ।
“ভগবানের সমস্ত অবতারেরা হচ্ছেন পুরুষাবতারদের অংশ অথবা কলা । কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান ।”
এতে চাংশকলাঃ পুংসঃ কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম ।
উক্ত দুটি শ্লোকে ব্যবহৃত ‘ভগবান্’ বলতে কি বুঝায় তা এখন আলোচ্য ।
‘ভগ’ শব্দের অর্থ ঐশ্বর্য বা শক্তি ।💖
***************************************************************
ঐশ্বর্যস্য সমগ্রস্য বীর্যস্য যশসঃ শ্রিয়ঃ ।
জ্ঞানবৈরাগ্যয়োশ্চৈব ষন্নং ভগ ইতীঙ্গনা ।। (বিষ্ণু পুরাণ ৬/৫/৭৪)
অর্থাৎ “সমগ্র ঐশ্বর্য্য, সমগ্র বীর্য, সমগ্র যশ, সমগ্র শ্রী (সৌন্দর্য ও সম্পত্তি) সমগ্র জ্ঞান, এবং সমগ্র বৈরাগ্য এই ছয়টি মহাশক্তির নাম ‘ভগ’ । সুতরাং এই সকল মহাশক্তি যাতে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে বর্তমান তিনিই ভগবান ।”💖
*******************************************************************
এই শ্লোক দ্বারা প্রমাণিত হয় যে ঐশ্বর্যাদি ষড়বিধ মহাশক্তিসম্পন্ন সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান ।💖💖💖

Friday, March 30, 2018

💖💖💖*****ভক্ত ও ভগবানের চির মধুর সম্বন্ধ *****💖💖💖

💖💖💖*****ভক্ত ও ভগবানের চির মধুর সম্বন্ধ *****💖💖💖===========================================

পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারতবর্ষের বৃন্দাবনে যখন শ্রীকৃষ্ণ তাঁর লীলাবিলাস করতেন সেই সময় প্রতিদিনই তিনি তাঁর
💖💖💖গোপসখা, গাভী ও বাছুরদের নিয়ে যমুনার তীরে খেলতে যেতেন। আর সেই সময় প্রায়ই শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর সখাদের বধ করার জন্য কংস কোনও কোনও দানবকে পাঠাত। তা সত্ত্বেও গোপ বালকরা নির্ভয়ে খেলত, কারণ তারা নিশ্চিতভাবে জানত শ্রীকৃষ্ণ তাদের অবশ্যই রক্ষা করবেন। আর এটিই হল আধ্যাত্মিক জীবনের বৈশিষ্ট্য, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণে আত্মসমর্পণের মাধ্যমেই প্রত্যেকের নিশ্চিত জীবনের সূচনা হয়।💖💖💖
শ্রীকৃষ্ণের চরণে আত্মসমর্পণের অর্থ হল তাঁর প্রতি একান্ত বিশ্বাস রাখা, যে কোনরকম বিপদের সময়ে তিনিই আমাদের রক্ষা করবেন। আর এই আত্মসমর্পণের প্রথম পদক্ষেপই হল শুধুমাত্র ভক্তিমূলক ক্রিয়াকলাপ করা। সেইসাথে ভগবদ্ভক্তির প্রতিকূল ক্রিয়াকলাপগুলো বর্জন করা। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হল শ্রীকৃষ্ণের প্রতি মনে মনে আস্থা অর্জন করা যে কোনরকম বিপদে কেবলমাত্র তিনিই আমাদের উদ্ধার করবেন। প্রকৃতপক্ষে বাস্তব সত্য হল যে, তিনি সবসময়ই আমাদের রক্ষা ও প্রতিপালন করে চলেছেন। কিন্তু মায়ার (বিভ্রান্তি) কারণে আমরা মনে করি থাকি যে, আমরা বুঝি খাদ্য সংগ্রহ ও গ্রহণের মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের প্রতিপালন করছি।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই ভক্তদের প্রতিপালন করেন এবং তাদের জীবন সুরক্ষিত করেন।💖💖💖💖💖