Tuesday, March 14, 2017

***শ্রীকৃষ্ণের ভগবত্তা***

***শ্রীকৃষ্ণের ভগবত্তা***
এতে চাংশকলাঃ পুংসঃ কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ম্ । 
“ভগবানের সমস্ত অবতারেরা হচ্ছেন পুরুষাবতারদের অংশ অথবা কলা । কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান ।”
এতে চাংশকলাঃ পুংসঃ কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম ।
উক্ত দুটি শ্লোকে ব্যবহৃত ‘ভগবান্’ বলতে কি বুঝায় তা এখন আলোচ্য ।
‘ভগ’ শব্দের অর্থ ঐশ্বর্য বা শক্তি ।

ঐশ্বর্যস্য সমগ্রস্য বীর্যস্য যশসঃ শ্রিয়ঃ ।
জ্ঞানবৈরাগ্যয়োশ্চৈব ষন্নং ভগ ইতীঙ্গনা ।। (বিষ্ণু পুরাণ ৬/৫/৭৪)
অর্থাৎ “সমগ্র ঐশ্বর্য্য, সমগ্র বীর্য, সমগ্র যশ, সমগ্র শ্রী (সৌন্দর্য ও সম্পত্তি) সমগ্র জ্ঞান, এবং সমগ্র বৈরাগ্য এই ছয়টি মহাশক্তির নাম ‘ভগ’ । সুতরাং এই সকল মহাশক্তি যাতে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে বর্তমান তিনিই ভগবান ।”

এই শ্লোক দ্বারা প্রমাণিত হয় যে ঐশ্বর্যাদি ষড়বিধ মহাশক্তিসম্পন্ন সচ্চিদানন্দ বিগ্রহই ভগবান ।

Monday, March 13, 2017

‘ভক্তের মধ্যে ভগবান’ এই কথার তাৎপর্য কি ?

লোকে প্রায় বলে, ‘ভক্তের মধ্যে ভগবান’ এই কথার তাৎপর্য কি ?
💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛
পরমাত্মারূপে ভগবান প্রত্যেক জীবের অন্তরে নিত্য বিরাজমান। সর্বস্য চাহং হৃদি সন্নিবিষ্টো শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৫/১৫ শ্লোকে কিন্তু ভগবদবিমুখ ব্যক্তি কখনই তাঁকে জানতে পারে না। মূঢ় ব্যক্তিরা ভগবানকে অবজ্ঞা করে। অবজানন্তি মাং মূঢ়াঃ শ্রীমদ্ভবগদ্গীতা ৯/১১। ভগবান প্রতি অণু-পরমাণুতে ও রয়েছেন, অণ্ডান্তরস্থ পরমাণুচয়ান্তরস্থং’ (ব্রহ্মসংহিতা)
কিন্তু তাঁকে জানতে হলে শ্রদ্ধাভক্তি দরকার। যার মধ্যে ভগবদ্ভক্তি রয়েছে সে-ই ভক্ত।পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, ভক্ত্যা মামভিজানাতি শ্রীমদ্ভবহদ্গীতা ১৮/৫৫ শ্লোকে ভক্তির দ্বারাই ভগবানকে জানা সম্ভব।
💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚
শ্রীমদ্ভাগবতে ভগবানের উক্তি–

সাধবো হৃদয়ং মহ্যং সাধূনাং হৃদয়ং ত্বহম্।
মদনৎ তে ন জানন্তি নাহং তেভ্যো মনাগপি॥
“শুদ্ধ ভক্ত সর্বদা আমার হৃদয়ে থাকেন এবং আমি ও সর্বদা শুদ্ধ ভক্তের হৃদয়ে থাকি। ভক্তরা আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে জানে না, আমি ও তাদের ছাড়া আর কিছুই জানি না।” শ্রীমদ্ভগবত ৯/৪/৬৮ স্কন্দে
ভগবান সর্বদা ভক্তবৎসল। ভক্ত সর্বদা ভগবানের নামকীর্তন, মহিমা প্রচার, স্তবস্তুতি করেন। ভগবানের নাম, মহিমা, রূপ, গুণ, লীলা ইত্যাদি কীর্তন করলে ভগবান অত্যন্ত প্রীত হয়ে ভক্তস্থানে অবস্থান করেন।
💚💛💚💛💚💛💚💛💚💛💚💛💚💛
শ্রীনারদ মুনিকে ভগবান বলেছেন–
নাহং তিষ্টামি বৈকুণ্ঠে যোগিনাং হৃদয়েষু বা।
মদ্ভক্তাঃ যত্র গায়ন্তি তত্র তিষ্ঠামি নারদ॥
“হে নারদ, বৈকুণ্ঠে কিংবা যোগীদের হৃদয়ে আমি থাকি না। যেখানে আমার ভক্তগণ আমার কীর্তন করে, সেইখানেই আমি অবস্থান করি।"

ভক্তের মাধ্যমে ভক্তবৎসল পরমেশ্বর ভগবানকে জানা সম্ভব।